গাজীপুর প্রতিনিধি:
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত শুক্র ও শনিবার (১৯ জুলাই) গাজীপুরে হওয়া সহিংসতায় সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়সহ ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেছেন মেয়র জায়েদা খাতুন। সোমবার (২৯ জুলাই) আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া নগর ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা ও পুড়ে যাওয়া যানবাহন ঘুরে দেখেন।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কোটা আন্দোলনে আহত তার ছেলে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।
মেয়র জায়েদা খাতুন বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্ত নগর ভবন পরিদর্শন করেছি। এসব ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো। আন্দোলনকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় আমার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছেন।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনকে ঘিরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী ও গাছা আঞ্চলিক কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। টঙ্গী আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে থাকা সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ছয় গাড়ি, ময়লা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত দুইটি হুইল লোডার ও রোলারসহ ১৪টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও আটটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। দুর্বৃত্তরা গাছা আঞ্চলিক কার্যালয়ে এবং মেয়র জায়েদা খাতুনের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর করে। গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় পুলিশ বক্স, সড়ক ও জনপথ ভবনের সামনে থাকা ওই প্রতিষ্ঠানের গাড়ি এবং টঙ্গীর ডেসকো বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের মালামাল অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব আব্দুল হান্নান জানান, মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তিনটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তার মধ্যে সিটি করপোরেশনের টঙ্গী ও গাছা আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তাদের প্রধান করে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট গঠিত এ দুটি কমিটিকে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা নমিতা দে-কে প্রধান করে ৯ সদস্যের ওই কমিটি গঠন করা হয়। সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) অনুসারীদের নিয়ে ঢাকায় আসার পথে উত্তরা এলাকায় কোটা নিয়ে আন্দোলন চলাকালে গাজীপুরের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। তাদের হামলায় জাহাঙ্গীর আলম গুরুতর আহত হন। তার সহযোগী জুয়েল মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করে। সাবেক এই মেয়র সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।