![](https://dailyjagratobangladesh.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধকরণ, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, চলমান আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেছেন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। এসময় কয়েকজন সচিবের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরাও উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মঙ্গলবাল বিকাল ৩টার দিকে এ বৈঠকে বসেন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আলোচনায় যোগ দিয়েছেন।
এ ছাড়া বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব, বাণিজ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সচিবও যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং র্যাব, বিজিবি ও আনসার প্রধানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এতে যোগ দিয়েছেন৷
সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা হয়। এতে সরকারি হিসাবে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৫০ জন (বেসরকারি হিসাবে দুই শতাধিক) নিহত হয়েছেন। আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হয় অফিস।
সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। জোটটি মনে করে, আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও নাশকতায় বিএনপি, জামায়াত ও শিবির জড়িত। মঙ্গলবার দুপুরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বুধবারের মধ্যে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে।