গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালীগঞ্জে নাজিম উদ্দীন খন্দকার (৩৯) নামের এক ব্যক্তির নিখোঁজের ২৩ দিনেও সন্ধান করতে পারেনি কালিগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশের এই ভূমিকায় তার পরিবারসহ এলাকার লোকজনের মনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন অবশ্য বলছেন, তিনি সদ্য এই থানায় যোগদান করেছেন। বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজ করছেন।
এদিকে স্বজনকে হারিয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছেন তার পরিবারের লোকজন। নাজিম উদ্দীনের বড় ভাই মো. নাসির উদ্দিন খন্দকার তার ভাইয়ের নিখোঁজের পেছনে এক প্রতিবেশীর হাত আছে বলে সন্দেহ করছেন।
নাসির উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘প্রতিবেশী আব্দুল হাইয়ের ছেলে সৌদি প্রবাসী আলী শেখের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার মনোমালিন্য চলছিল। আলী শেখ আমার ছোট ভাই নাজিম উদ্দিন খন্দকারকে গুম-খুনের হুমকি দিয়ে আসছিল। আমাদের ধারণা, আলী শেখ তার বাহিনীর লোকজন দিয়ে নাজিম উদ্দীনকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখতে পারে।’
নাজিম উদ্দিনের নিখোঁজের বিষয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘গত ৩ সেপ্টেম্বর মাগরিবের নামাজের পর আলী হোসেন শেখ আমার ভাইকে তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিয়ে স্থানীয় পুনসহি বাজারে যেতে বলে। পরে তার কথামতো সে বাজারে যায়। তার পর থেকে সে নিখোঁজ।’
নাজিম উদ্দিনের বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিবেশী বন্ধু কামরুজ্জামানের মোবাইল থেকে নাজিম উদ্দীনের মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কালিগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি (জিডি) করেন নাসির উদ্দিন।
নিখোঁজের জিডি করার ২৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত নাজিম উদ্দিনের কোনো সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ। তাই মঙ্গলবার গাজীপুর আদালতে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ছয়-সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন নাসির উদ্দিন।
নাজিম উদ্দিনের অপহরণে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তার পরিবারের লোকজন।