আজ দুপুরে ফিরছেন সাফজয়ী মেয়েরা, এবারো ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা

খেলা গাজীপুর সারা দেশ

অনলাইন ডেস্ক:
২০২২ সালে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেসময় দেশে ফেরার পর ছাদখোলা বাসে করে বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে ফিরেছিল বাঘিনীরা।

বিমানবন্দর থেকে মতিঝিলের বাফুফে ভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে ফুটবলপ্রেমীরা বিপুলভাবে অভিনন্দিত করেছিলেন সাবিনা, সানজিদা, মাসুরাদের। টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ জয়ের পর বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে আবারও ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দিতে যাচ্ছে বাফুফে।
মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘একটি ছাদখোলা বাসে চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারদের শহর প্রদক্ষিণ করানো হবে। এ জন্য বিআরটিসির একটি বাস প্রস্তুত করা হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন সাফ বিজয়ী মেয়েরা।

এদিকে সাফ বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। মেয়েরা দেশে ফিরলে তিনি তাঁদের সংবর্ধনা জানাবেন বলেও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পরপরই ফোনে নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এএফসির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাফুফের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি তাবিথ আউয়াল এখন দক্ষিণ কোরিয়ায় আছেন।

নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন! অভিনন্দন!! অভিনন্দন!!!’

তাবিথ আউয়াল আরও লিখেছেন, ‘নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। পুরো দেশের মানুষ আজ আমাদের নারী ফুটবলারদের নিয়ে গর্বিত, আমরা আনন্দিত। নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় এই জয় আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ করবে, যেকোনো প্রতিকূলতা জয়ে এই নারী চ্যাম্পিয়নরা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।’

বুধবার রাতে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে ‘নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’ এ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।

এর আগে ২০২২ সালে এই নেপালকেই ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সাবিনা-তহুরারা।

বুধবার ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। বিরতির পর ৫২ মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এ সময় আক্রমণে ওঠে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। নেপালের ডি বক্সের সামনে বল পেয়ে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তিনি বাড়িয়ে দেন সামনে থাকা তহুরা খাতুনকে। তহুরা বল বাড়িয়ে দেন ডি বক্সের ভেতরে। দৌড়ে গিয়ে সেটাতে কোনওরকমে ডান পা লাগিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন। তাকে রুখতে আসা নেপালের গোলরক্ষক ও আরেকজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় সেখানেই ভূপাতিত হন।

তবে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি বাটলারের শিষ্যরা। ৫৬ মিনিটেই সমতা ফেরায় নেপাল। শেষ দিকে ঋতুপর্ণার দারুণ এক গোলে শিরোপা নিশ্চিত করেন সাবিনারা।

৮১ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে ঋতুপর্ণা চাকমা বিজয়সূচক গোলটি করেন। বাঁ প্রান্ত থেকে অসাধারণ শটে নেপালি গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ঋতুপর্ণা। এই গোলেই শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *