নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইশতিয়াক মাহমুদ নামের একজন আন্দোলনকারীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
ওই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আজ (বুধবার) রিমান্ড শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান।
২৯ অক্টোবর ইশতিয়াক মাহমুদ নামের একজন ভুক্তভোগী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।মামলায় সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। শমী কায়সার এ মামলায় ২৪ নম্বর ও তাপস ৯ নম্বর এজহারনামীয় আসামি।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি একজন আওয়ামী লীগ নেত্রী। গত ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪নং সেক্টরস্থ আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুলের সামনে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছামাত্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ক্যাডার এজাহারনামীয় আসামিরা বাদীর ওপর অতর্কিতভাবে হামলা, মারধরসহ গুলি বর্ষণ করতে থাকে।আসামিদের ছোড়া গুলি বাদীর পেটে, পিঠে, হাতে, মাথায় লাগলে গুরুতর আহত হয়।
শমী কায়সার আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর মাগুরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির। আদালত মামলাটি ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।