গাজীপুরে সাফারি পার্কের নেট কেটে দুইটি ম্যাকাও পাখি চুরি

গাজীপুর সারা দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত সাফারি পার্ক থেকে ম্যাকাও পাখিশালার নেট (জাল) কেটে দুইটি গ্রীন উইং ম্যাকাও পাখি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পার্কের পক্ষ থেকে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে পাখি চুরি যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় ম্যাকাউ পাখিশালার বেষ্টনী নেট কেটে দুটি ম্যাকাও পাখি চুরি হয়। এ বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর টঙ্গীর পাখির মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পাখি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক রাজু আহমেদ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় অজ্ঞাত চোরদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর ২০২৪ দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সাফারি পার্ক গাজীপুরের অভ্যন্তরে ম্যাকাও পাখিশালার নেট কেটে ২টি গ্রীন উইং ম্যাকাও পাখি কে বা কারা নিয়ে যায়। চুরিকৃত পাখি দুটির আনুমানিক বাজার মূল্য ৮ লাখ টাকা। পরে ২৩ নভেম্বর ভোর বেলা ম্যাকাও পাখিশালায় নিয়োজিত কর্মচারীগণ বেষ্টনী পরিষ্কার করতে গিয়ে নেট ছেড়া দেখতে পেয়ে পাখি গণনা করে ২টি ম্যাকাউ পাখি কম পায়।

থানায় দায়ের করা অভিযোগের সূত্রে পাখি উদ্ধারে পুলিশ কাজ শুরু করে। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান বলেন, আমি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এক জন্য ব্যক্তিকে শনাক্ত করি। পরে তার বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে ওই দিনই টঙ্গী বাজার এলাকার সেনা কল্যাণ রোডে অবস্থিত পাখি বেচাকেনার মার্কেটের একটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরবর্তী সময়ে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে টঙ্গীর একটি পাখি বিক্রির দোকান থেকে চুরি যাওয়া একটি ম্যাকাও পাখি উদ্ধার করা হয়। পাখিটি মাত্র ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল বলে দোকান মালিক জানান। তবে তদন্তের স্বার্থে চুরি ও বেচাকেনার সঙ্গে জড়িতদের নাম পরিচয় প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান।

সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক রাজু আহমেদ বলেন, পাখিটির মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে ধস্তাধস্তি করে বের করে নিয়ে যাওয়ায় পাখিটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পাখিটির চিকিৎসা চলছে।

ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) শারমিন আক্তার বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সহায়তায় টঙ্গী বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্বাক্ষীদের জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চোরকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে আমাদের ধারণা অপর পাখিটি হয়তো বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করব, এ ঘটনায় কারো অবহেলা বা গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। সবশেষ সাফারি পার্কে এখনও ২৭টি ম্যাকাও পাখি আছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *