নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকর্মী ডুয়েটের হল থেকে আজীবন বহিষ্কার

গাজীপুর রাজনীতি শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক,গাজীপুর:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাসহ নানা অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকর্মীকে হল থেকে বহিষ্কারসহ তিন ধরণের অ্যাকাডেমিক শাস্তি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) প্রশাসন।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ডুয়েট ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাসের সই করা এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

নোটিশ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এবং এর আগে ও পরে শিক্ষার্থী নির্ঘাতনের ঘটনায় ছাত্রদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন। সেই প্রেক্ষিতে গত ৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ডিসিপ্লিন (শৃঙ্খলা কমিটি) এর উল্লেখিত বিষয়ের ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা বিধি’র ধারা ৫ মোতাবেক তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত শান্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগুলো হলো ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে আজীবন ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাদের চারিত্রিক সনদপত্রে শাস্তি প্রাপ্তির কথা উল্লেখ থাকবে।

শাস্তি পাওয়া এসব শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান মিঠুন, সাধারণ সম্পাদক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান মান্না, সহসভাপতি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী প্রতাপ কুমার, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন রিফাত, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোজ্জামেল হোসেন শাহীন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান তুহিন, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুল আলম শান্ত, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদ প্রিন্স, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ মিয়া মাহিন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাসিন মাহমুদ ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী এম এম সায়মুন।

নোটিশে আরো বলা হয় কেন তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার জবাব সাত কার্যদিবসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যক্তিগত শুনানীতে ইচ্ছুক কিনা তা লিখিতভাবে জবাবে উল্লেখ করতে পারবে। জবাব দিতে ব্যর্থ হলে উল্লেখিত শাস্তি একতরফাভাবে কার্যকর হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *