নিজস্ব প্রতিবেদক:গাজীপুর:
গাজীপুরে সন্ত্রাস মাদক ও চাঁদাবাজ নির্মূল কমিটি ২৫ বিশিষ্ট কমিটির সদস্যর নাম ঘোষণা করা হয়।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ-মাদক নির্মূল কমিটি ঘোষণা করে গাজীপুর প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ-মাদক নির্মূল কমিটির আহবায়ক মুফতী হুসাইন আহমদ।
তিনি বলেন, গত ৫ই আগষ্ট ২০২৪ ইং ছাত্র- জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয় একাধারে প্রায় ১৬ বছর যাবৎ বাংলাদেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার। তবে এটাই প্রথম নয় ইতিপূর্বেও অধিকার আদায়ের জন্য জীবন ও রক্ত দেওয়ার ইতিহাস বাংলাদেশের জনগণের রয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সহিত বলতে হয়, প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্র-জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে দেশের পট পরিবর্তন হলেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে যথাযথ মূল্যায়ন হয় নি। কারণ দেশের পট পরিবর্তনে যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারা নিজেদের প্রত্যাশা পূরণেই বেশি ব্যস্ত ছিলো। তবুও জনগণ অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিলো। আর তারই ধারাবাহিকতার ফসল এই গণঅভ্যুত্থান। তাই এই গণঅভ্যুত্থানের সুফল গণমানুষের নিকট পৌছাতে হলে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজ নির্মূলের বিকল্প নেই। আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও পূর্বের ন্যয় সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজরা নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমরা এই সকল সমাজবিধংসী অপরাধের নির্মূল চাই। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ আজকের এই সাংবাদ সম্মেলন।
তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালিন সরকারের নিকট ৭ দফা দাবি উত্থাপন করছি- ১. সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ও দায়িত্ব পালনে অবহেলাকারী প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশ ও বরখাস্ত করতে হবে। ২. সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজি হয় এমন স্পট গুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশি টহল নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সাময়িক সময়ের জন্য জনবল বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে হবে। ৩. গার্মেন্টস, বাজার ও ফুটপাতসহ সকল সেক্টরের চাঁদাবাজ ও দখলদারদের পরিচয় প্রকাশ করতঃ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৪. সন্ত্রাস ও মাদক কারবারির সাথে জড়িত ব্যক্তি ও তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ৫. গাজীপুরের সকল থানায় জনসাধারণ যেনো নির্বিঘ্নে তাদের অভিযোগ পেশ করতে পারে এবং সকল নাগরিক সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ৬. নগরির গুরুত্বপূর্নস্থান ও সড়ক গুলোকে যানযট মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৭. ফুটপাত ব্যবসায়িদের পূনর্বাসন করে তবেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন সন্ত্রাস মাদক ও চাঁদাবাজ নির্মূল কমিটির সদস্য মাওলানা মোখলেছুর রহমান,মুফতী ফারুক আহমদ নোমানী, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক,আমজাদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, ফিরোজ আহমদ, পাঠান আজহার, মিন্টু মিয়া, লিটন হোসেন, আহসান হাবীব, মাওলানা জুলফিকার হায়দার, আল আমিন খান, আশরাপুল ইসলাম, রবিউল হাসান প্রমুখ।