শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহত বেড়ে ৯৫

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পে বহু বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে যে, প্রতিবেশী নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং ভারতের বিভিন্ন অংশেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল)।

প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে এই অঞ্চলে ভূমিকম্প বেশ সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিগাতসে শহরটি তিব্বতের অন্যতম পবিত্র শহর হিসাবে বিবেচনা করা হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পে এক হাজারের বেশি বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা গেছে ভবন ধসে পড়েছে। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর কয়েক দফা আফটার শক (পরাঘাত) অনুভূত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযানে কাজ শুরু করেছে চীনের বিমান বাহিনী। সেখানে বেশ কিছু ড্রোনও মোতায়েন করা হয়েছে। ওই অঞ্চলে পানি এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এদিকে নেপালেও ভূমিকম্প আঘাত হানলেও সেখানে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০১৫ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় ৯ হাজার মানুষ নিহত এবং আরও ২০ হাজার মানুষ আহত হয়।

অপরদিকে তিব্বতে ভূমিকম্পের পর শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে রেকর্ড করা হয়েছে। ভারতের বিহারসহ বেশ কিছু স্থানেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে সেখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *