
নিজস্ব প্রতিবেদক,গাজীপুর:
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুরে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ‘টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (টিকিউএম) ফর ইউনিভার্সিটি অফিসিয়ালস্থ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালা সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো- ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রাজু আহমেদ।
কর্মশালায় টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম)-এর প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলর ও ডিভিশনাল হেড ড. ইঞ্জি. মো. মামুনুর রশিদ। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন—”যেকোনো ক্ষেত্রে গুণগত মান নিশ্চিত করতে সঠিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করলে, ডুয়েটকে আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
তিনি আরও বলেন— “নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিতে আমরা ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ডুয়েটকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে আমরা নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করছি এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধি করছি।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার বলেন— “যে কোনো প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির জন্য টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (টিকিউএম) অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কর্মশালার রিসোর্স পার্সন ড. ইঞ্জি. মো. মামুনুর রশিদ বলেন— “টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (টিকিউএম) পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “টিকিউএমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি, ক্রমাগত উন্নয়ন, সহযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
কর্মশালার শেষ পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকগণ অংশগ্রহণ করেন।